ডিজিটাল এই যুগে আমরা মুঠোফোন নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকি। শিশু থেকে বড়—সবাই রয়েছেন এই কাতারে। পেশাগত কাজ, বার্তা লেখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার থেকে শুরু করে গেম খেলা—সবই চলে এই যন্ত্রে।
সমস্যা হলো, এসব কাজ বেশি করার কারণে বৃদ্ধাঙ্গুলির বারবার নড়াচড়া হয়। যা কবজি বা বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ার দিকে তীব্র ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে এই সমস্যার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘গেমারস থাম্ব’।
অন্যদিকে শিশুকে বারবার কোলে নিতে ও পরিচর্যা করতে গিয়ে নতুন মায়েদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, এসব করতে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কবজির ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। এ ছাড়া গলফ খেলা, পিয়ানো বাজানো, দীর্ঘক্ষণ টাইপিং, যেকোনো ধরনের মিস্ত্রি ও কাপড় নিংড়ানোর মতো কাজে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আবার বাতের সমস্যার কারণে স্কার টিস্যু ফরমেশনের জন্য এমনটি হয়। গর্ভকালেও এ ধরনের ব্যথা হতে পারে। ১৮৯৫ সালে সুইস সার্জন ডিকোরভেইন বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ার বা কবজির দিকে তীব্র ব্যথা ও লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া বা প্রদাহ হওয়ার নাম দেন ডি-কোয়ার্ভেইন টেনোসাইনোভাইটিস (ডিকিউটি)। এর মূলে থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলির মাংসপেশির টেনডনের (রগ) ব্যথা।
লক্ষণ
প্রধান লক্ষণের মধ্যে বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ালির দিকে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া অন্যতম। অন্যান্য লক্ষণ হচ্ছে হাত ও কবজি নাড়ানোর সময় বা মুষ্টি করলে ব্যথা অনুভূত হওয়া। কোনো কিছু ধরার শক্তি কমে যাওয়া।
শনাক্ত
হাতের তালুর মধ্যে বৃদ্ধাঙ্গুলি রেখে ও বাকি আঙুল দিয়ে মুষ্টি করে কনিষ্ঠ আঙুলের দিকে হাত বাঁকালে যদি বৃদ্ধাঙ্গুলের গোড়ার দিকে ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে তা ডিকিউটির প্রবণতা হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।
করণীয়
© Rajbari News Portal | Website Design & Developed by Glossy IT