শীতের শুরুতে শিশুরা ঠাণ্ডা সর্দিতে ভুগলে করণীয় গুলো


এখনকার আবহাওয়া বেশ বিপজ্জনক। সারা দিন গরম থাকলেও শেষরাতে ঠাণ্ডা পড়ে। এ জন্য এখনকার আবহাওয়ায় শিশুদের ঠাণ্ডা-সর্দিতে ভুগতে দেখা যায়। শিশুকে সুস্থ রাখতে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

শিশু বয়সে ডাক্তার দেখানোর প্রধান কারণ ঠাণ্ডা-সর্দি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চারপাশের বাতাসে ভেসে থাকা ভাইরাসজনিত কারণে বা হাতে লাগে এমন সব বস্তুর সংস্পর্শ হতে ঠাণ্ডা-সর্দি অসুখের সূত্রপাত হয়। এর প্রেসক্রিপশন বেশ সহজ; সময়ের সঙ্গে শিশু সেরে উঠবে এবং তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

লক্ষণ

  • নাক জ্যাম ভাব, সর্দি ঝরা—প্রথমে পানির মতো ঝরবে।
  • পরে তা তা ঘন হলুদাভ বা সবুজ রঙের হয়ে উঠতে পারে।
  • খুসখুস গলা বা গলা ব্যথা
  • হাঁচি ও কাশি
  • মাথা ব্যথা
  • সামান্য জ্বর
  • ক্লান্তি ভাব
  • খাবার খেতে অনীহা

করণীয়

  • প্যারাসিটামল দেওয়া।
  • ভাপ বা বাষ্প নাক দিয়ে টানতে বলা।
  • নাসারন্ধ্র খোলা রাখতে লবণ জল বা স্যালাইন জলের ড্রপস ব্যবহার করা।
  • নাকের ঘন সর্দি বাল্ব সিরিঞ্জ দিয়ে বের করে আনা—যদি প্রয়োজন হয়।
  • প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার, বুকের দুধ, ফলের রস খাওয়ানো। তবে ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় খাওয়া যাবে না।
  • ২ বছরের নিচে কম বয়সী শিশুকে কফ-কাশির সিরাপ কখনো না দেওয়া। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • কখনো শিশুকে এসপিরিনজাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না।

কখন চিকিৎসা প্রয়োজন?

  • যদি ঠাণ্ডা-সর্দির প্রকৃতি আরো খারাপ হয়ে যায় বা এক সপ্তাহে তা না কমে।
  • ঠাণ্ডা-সর্দি-কাশি যদি পরাগ, ধুলাবালি, পশুর লোম—এসবের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
  • ভাঙা কাশি ও এর সঙ্গে শ্বাসে শাঁই আওয়াজ।
  • শিশুকে বেশ অসুস্থ দেখালে বা বেশি মাত্রার জ্বর।
  • গলা ব্যথার কারণে শিশু যদি খেতে বা পানীয় পান করতে না পারে।
  • তীব্র মাথা ব্যথা। 

প্রতিরোধে যা মানতে বলবেন

  • শিশুকে ঠাণ্ডা-সর্দিতে আক্রান্ত বা ধূমপানরত এমন কারো কাছাকাছি থাকতে নিষেধ করা।
  • অন্য শিশুর সঙ্গে খেলার পর বা নাক ধরার পর সময়মতো হাত ধুয়ে দেওয়া।
  • সর্দি বা হাঁচি-কফ টিস্যু বা রুমালে মুছে নিতে বলা।
Follow Us
ফ্লিকার ফটো

© Rajbari News Portal | Website Design & Developed by Glossy IT