বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ২০১৯ সালে বিশ্বে ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন লোক অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে মারা যায়। ২০৫০ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি বছর ১ কোটি লোকের মৃত্যুর কারণ হবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। শুধু অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণেই আগামীতে প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন মারা যাবে। তাই আমাদের প্রয়োজনেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্ক ও সচেতন হবে। সুতরাং আর নয় অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্চ ব্যবহার।
চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রিভেন্টিং অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স টুগেদার’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল দুপুরে হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটালের ইনফেকশন কন্ট্রোল কমিটির চেয়ারম্যান ও ল্যাব প্রধান অধ্যাপক ডা. আকরাম হোসাইন। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইএমসিএইচের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতিহা তাসনিম জিনিয়া এবং ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. রাকিব হাসান।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, পল্লী চিকিৎসক বা গ্রামের ফার্মেসিগুলোতে ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীকেই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। অথচ সাধারণ এসব জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়ার জন্য যেখানে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার হয় না। কার্যত এসব কারণেই অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে।
© Rajbari News Portal | Website Design & Developed by Glossy IT