
কোনো চাকরি ছাড়ার আগে সে প্রতিষ্ঠানকে মাসখানেক আগে নোটিস দিতে হবে, এমনটাই সাধারণ নিয়ম। কিন্তু আপনি যদি নোটিস না দিয়েই সরাসরি চাকরি ছেড়ে দেন তাহলে কী হবে? আপনার যদি ব্যক্তিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা থাকে, সে কথা আলাদা। কিন্তু পরবর্তীতে আপনার যদি সে প্রতিষ্ঠানে আর যাওয়ার প্রয়োজন না হয় তাহলে সরাসরি চাকরি ছাড়া যেতে পারে। অনেক প্রতিষ্ঠানই চাকরি ছাড়ার জন্য কর্মীরা নোটিস দিলে তার চাকরি ছাড়তে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। নোটিস না দিয়ে চাকরি ছাড়লে সে ধরনের ঝামেলাও এড়ানো সম্ভব। এ লেখায় রয়েছে তেমন কয়েকটি কারণ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।
১. আপনার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে আগে থেকে নোটিস না দিয়েই চাকরি ছাড়ার কথা চিন্তা করতে পারেন। এক্ষেত্রে চাকরি ছাড়ার জন্য আপনার প্রস্তুতি গোপন রাখতে হবে। আর আপনার সব জিনিসপত্র একবারে সরাতে না পারলে আগে থেকেই তা অল্প করে কমিয়ে নিতে পারেন। এরপর চাকরির শেষ দিন ম্যানেজারকে বলে দিলেই হলো যে, ‘আজকে আমার শেষ দিন।’
২. আপনার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার যদি কর্মীদের অন্য কোথাও চাকরি খুঁজতে গেলে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাহলে চাকরি ছাড়ার আগে তাকে না বলাই ভালো। এক্ষেত্রে আগে থেকে নোটিস দিলে তিনি আপনার নতুন চাকরি পেতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেন।
৩. আপনি যদি বর্তমান প্রতিষ্ঠানের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য এগিয়ে যান তাহলে তা গোপন রাখাই শ্রেয়। অনেক সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানে চাকরির কথা নোটিসে জানালে ব্যবসার গোপনীয়তা নষ্ট হতে পারে আশঙ্কায় কর্মীদের আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
হয়।
৪. কর্মক্ষেত্রে আপনাকে যদি হয়রানি কিংবা বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হতে হয় কিংবা আপনার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা যদি হুমকির মুখোমুখি হয় তাহলে নিজের নিরাপত্তার বিষয়টিই সবার আগে দেখতে হবে। সে ধরনের পরিস্থিতিতে আগে থেকে নোটিস দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
৫. আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে শিক্ষানবিশ পর্যায়ে থাকেন এবং আপনার বস যদি বিনা কারণে আপনাকে বরখাস্ত করতে চায় তাহলে আগেভাগেই সে চাকরি ত্যাগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে চাকরি ছাড়ার সময় আপনার ম্যানেজারকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললেই চলবে।