
বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের মধ্যে কনিষ্ঠতম জন ডাস্টিন মোসকোভিটজ এর বয়স মাত্র ৩২। ফেসবুকের প্রধান টেকনোলজি অফিসার মোসকোভিটজ ২০১০ সালে প্রাথমিকভাবে বিশ্বের কনিষ্ঠতম বিলিওনিয়ার হন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৬। এরপর তিনি ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কম্পানি মেনলো পার্ক এবং ২০০৮ সালে আসানা নামের সফট্যওয়্যার কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
মোসকোভিটজ এর হার্ভার্ড রুমমেট মার্ক জাকারবার্গ তরুণ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের মধ্যে শীর্ষ ধনী। মোসকোভিটজ এর চেয়ে বয়সে মাত্র ৮ দিনের বড় জাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ ৫৪ বিলিয়ন ডলার। যা অন্য ১৩ তরুণ প্রযুক্তি ধনকুবেরের মোট সম্পদ ৫২.১ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি। মার্ক জাকারবার্গ মাত্র ২৩ বছর বয়সে প্রথম বিলিয়ন ডলারের মালিক হন। আর গত ১ বছরে ফেসবুক থেকে জাকারবার্গের আয় হয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার। তিনি এখন পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে আছেন।
জাকারবার্গের আরো দু্ই বন্ধুও বিশ্বের শীর্ষ তরুণ ধনীদের তালিকায় রয়েছেন। ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন (২০) এবং এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট সিন পার্কার (৩০) চলতি বছরে তরুণ বিলিওনিয়ারদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। জাকারবার্গ ছাড়া এদের কেউই এখন আর ফেসবুকের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত নেই। তবে ফেসবুকের কল্যাণেই এরা বিলিওনিয়ার হয়েছেন।
সামাজিক গণমাধ্যম প্রযুক্তির বাইরেও অনেক তরুণ উদ্যোক্তা বিলিওনিয়ার হয়েছেন। এয়ারবিএনবি এর তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাথান ব্লেচারচজিক, ব্রায়ান চেস্কি এবং জো গেব্বিয়া। এদের প্রত্যেকেই ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার করে সম্পদের মালিক। তাদের কম্পানির মূল্য এখন ২৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালের জুনে মাত্র ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে তাদের কম্পানিটির যাত্রা শুরু হয়।
আরেকটি বড় প্রযুক্তি কম্পানি উবার; যার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৬৮ বিলিয়ন ডলার। এর দুই প্রতিষ্ঠাতা ট্রাভিস কালানিক এবং গ্যারেট ক্যাম্প, প্রতিজনের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে একমাত্র ক্যাম্পের বয়সই ৪০ এর নিচে। তার বয়স এখন ৩৭। কালানিক গত ৬ আগস্ট ৪০ এ পা রেখেছেন।
সিলিকন ভ্যালির বাইরেও বেশ কিছু সংখ্যক তরুণ উদ্যোক্তা বিলিওনিয়ার হয়েছেন। এদের একজন চীনের ফ্র্যাঙ্ক ওয়াং যিনি বিশ্বের প্রথম ড্রোন বিলিওনিয়ার। তরুণ বিলিওনিয়ারদের ছয়জনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। এদের দুজন অস্ট্রেলিয়ার মাইক ক্যানন-ব্রুকস এবং স্কট ফারকুহার। সফটওয়্যার ফার্ম আটলাসিয়ান থেকে ৩৬ বছর বয়সী এই দুই তরুণ উদ্যোক্তা জনপ্রতি ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের মালিক। ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসে পড়াশোনা শেষ করার পর ২০০২ সালে তাদের কম্পানির যাত্রা শুরু হয়।
আরেক তরুণ বিলিওনিয়ার অ্যাডাম নিউম্যান (৩৭) ইসরায়েলে বড় হয়েছেন। ২০১০ সালে নিউ ইয়র্কে উইওয়ার্ক নামের একটি কম্পানি স্থাপন করেন। গত মার্চে কম্পানিটির মুল্য দাঁড়ায় ১৬ বিলিয়ন ডলারে।
এ ছাড়া শীর্ষ ১০০ প্রযুক্তি ধনকুবেরের প্রায় অর্ধেকেরই বয়স ৫০ এর নিচে। আর প্রযুক্তি ধনকুবেরদের জনপ্রতি গড় সম্পদের পরিমাণ ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। যা তাদেরকে সাধারণ বিলিওনিয়ারদের থেকেও বেশি ধনী করেছে।
এ ছাড়া শীর্ষ ১০০ প্রযুক্তি ধনকুবেরের প্রায় অর্ধেকেরই বয়স ৫০ এর নিচে। আর প্রযুক্তি ধনকুবেরদের জনপ্রতি গড় সম্পদের পরিমাণ ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। যা তাদেরকে সাধারণ বিলিওনিয়ারদের থেকেও বেশি ধনী করেছে।
৪০ এর নিচের ১৪ ধনকুবেররা হলেন :
১. ডাস্টিন মোসকোভিটজ- বয়স ৩২, ১০.৮ বিলিয়ন
২. মার্ক জাকারবার্গ- বয়স ৩২, ৫৪ বিলিয়ন
৩. নাথান ব্লেচারচজিক- বয়স ৩৩, ৩.৩ বিলিয়ন
৪. এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন- বয়স ৩৪, ৭.৪ বিলিয়ন
৫. ব্রায়ান চেস্কি- বয়স ৩৪, ৩.৩ বিলিয়ন
৬. জো চেস্কি- বয়স ৩৪, ৩.৩ বিলিয়ন
৭. ফ্র্যাঙ্ক ওয়াং- বয়স ৩৫, ৩.৬ বিলিয়ন
৮. সিন পার্কার- বয়স ৩৬, ২.৪ বিলিয়ন
৯. স্কট ফারকুহার- বয়স ৩৬, ২.২ বিলিয়ন
১০. মাইক ক্যানন-ব্রুকস- বয়স ৩৬, ২.২ বিলিয়ন
১১. অ্যাডাম নিউম্যান- বয়স ৩৭, ২.৪ বিলিয়ন ডলার
১২. গ্যারেট ক্যাম্প- বয়স ৩৭, ৬.৩ বিলিয়ন
১৩. রবার্ট পেরা- বয়স ৩৮, ৩ বিলিয়ন
১৪. ঝৌ ইয়াহি অ্যান্ড ফ্যামিলি- বয়স ৩৯, ২.২ বিলিয়ন
২. মার্ক জাকারবার্গ- বয়স ৩২, ৫৪ বিলিয়ন
৩. নাথান ব্লেচারচজিক- বয়স ৩৩, ৩.৩ বিলিয়ন
৪. এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন- বয়স ৩৪, ৭.৪ বিলিয়ন
৫. ব্রায়ান চেস্কি- বয়স ৩৪, ৩.৩ বিলিয়ন
৬. জো চেস্কি- বয়স ৩৪, ৩.৩ বিলিয়ন
৭. ফ্র্যাঙ্ক ওয়াং- বয়স ৩৫, ৩.৬ বিলিয়ন
৮. সিন পার্কার- বয়স ৩৬, ২.৪ বিলিয়ন
৯. স্কট ফারকুহার- বয়স ৩৬, ২.২ বিলিয়ন
১০. মাইক ক্যানন-ব্রুকস- বয়স ৩৬, ২.২ বিলিয়ন
১১. অ্যাডাম নিউম্যান- বয়স ৩৭, ২.৪ বিলিয়ন ডলার
১২. গ্যারেট ক্যাম্প- বয়স ৩৭, ৬.৩ বিলিয়ন
১৩. রবার্ট পেরা- বয়স ৩৮, ৩ বিলিয়ন
১৪. ঝৌ ইয়াহি অ্যান্ড ফ্যামিলি- বয়স ৩৯, ২.২ বিলিয়ন