
আমাদের প্রায় সকলেই বিশ্বাস করি যে, আমাদের দেহের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে গেলেই বুঝি আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। এমনকি দেহের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই আমরা মনে করি আমাদের জ্বর হয়েছে। আর তাছাড়া ৯৮.৬ ডিগ্রি কি দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নয়? কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন অসুস্থতা ছাড়াও দেহের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
৯৮.৬ ডিগ্রি কেন?
জার্মান পদার্থবিদ কার্ল রেইনহোল্ড অগাস্ট উন্ডারলিক ১৮৬৮ সালে সর্বপ্রথম মানবদেহের স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি বলে নির্ধারণ করেন। তবে তিনি এও বলেন দিনের বিভিন্ন সময়ে মানবদেহের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করতে পারে। আর তাছাড়া তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি অসুস্থার অন্য কোনো উপসর্গ বা লক্ষণ না দেখা যায় তাহলে তাকে অসুস্থতা বলা যাবে না।
জার্মান পদার্থবিদ কার্ল রেইনহোল্ড অগাস্ট উন্ডারলিক ১৮৬৮ সালে সর্বপ্রথম মানবদেহের স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি বলে নির্ধারণ করেন। তবে তিনি এও বলেন দিনের বিভিন্ন সময়ে মানবদেহের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করতে পারে। আর তাছাড়া তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি অসুস্থার অন্য কোনো উপসর্গ বা লক্ষণ না দেখা যায় তাহলে তাকে অসুস্থতা বলা যাবে না।
৯৮.৬ শুধুমাত্র একটি গড়
লোকে ভাবে জ্বর খুবই খারাপ রোগ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা দেহের স্বভাবিক প্রতিক্রিয়া। আমাদের দেহের তাপমাত্রা দিনের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সকালে আমাদের দেহের তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে। আর শেষ বিকেলে গিয়ে তা সর্বোচ্চে পৌঁছায়। সুতরাং শ্রমজীবি মানুষদের ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, যদি তাদের দেহে তীব্র কোনো সংক্রমণ না থাকে। অথবা দেহে অন্য কোনো ভয়ঙ্কর লক্ষণ না থাকে।
লোকে ভাবে জ্বর খুবই খারাপ রোগ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা দেহের স্বভাবিক প্রতিক্রিয়া। আমাদের দেহের তাপমাত্রা দিনের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সকালে আমাদের দেহের তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে। আর শেষ বিকেলে গিয়ে তা সর্বোচ্চে পৌঁছায়। সুতরাং শ্রমজীবি মানুষদের ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, যদি তাদের দেহে তীব্র কোনো সংক্রমণ না থাকে। অথবা দেহে অন্য কোনো ভয়ঙ্কর লক্ষণ না থাকে।
আর এটা জানাটা গুরুত্বপূর্ণ যে ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা কোনো চুড়ান্ত সংখ্যা নয়। এটা মূলত একটি গড় হিসাব। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স্ক মানুষদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রির চেয়েও কম হতে পারে। আর শ্রমজীবিদের দেহের তাপমাত্রা এর চেয়ে একটু বেশিও থাকতে পারে। আর সে অবস্থাতেই তারা পূর্ণ রোগমুক্ত বলেও বিবেচিত হতে পারেন। কিন্তু এর সঙ্গে যদি ওজন কমা, ক্ষুধামান্দ্য প্রভৃতি কোনো লক্ষণ দেখা দেয় তাহলেই শুধু সমস্যা হতে পারে।
মুখে বা বগলে থার্মোমিটার দিয়ে শিশুদের দেহের তাপমাত্রা যদি ৯৯.৭ ডিগ্রি ধরা পড়ে তাহলে তা জ্বর হিসেবে গণ্য হতে পারে। বয়স্কদের জন্যও তা ৯৯.৭ ডিগ্রিই হবে।
তবে মলদ্বারের মাধ্যমে মাপা তাপমাত্রা শিশুদের বেলায় হতে হবে ১০০.৪ ডিগ্রি আর বয়স্কদের বেলায় হতে হবে ১০০.৬ ডিগ্রি।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, কারো দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা যদি হয় ৯৭ ডিগ্রি তাহলে ৯৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা জ্বর বলে গণ্য হবে। কিন্তু স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি হলে ৯৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা জ্বর বলে গণ্য হবে না, যতি তার আর কোনো সমস্যা না হয়।